সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারনে এলাকার নদীর পানি বেড়ে গেছে। ফলে ভেঙে গেছে জেলার আরও পাঁচটি ফসলরক্ষা বাঁধ। এরই মধ্যে শতাধিক হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে ঢলের পানিতে শাল্লা ও ধর্মপাশা উপজেলার পাঁচটি বাঁধ উপচে হাওরে পানি প্রবেশ করেছে। পানি উপচে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই বাঁধ গুলো ধীরে ধীরে ভাঙতে থাকে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পর এ বাঁধ ভেঙে যায়। একই দিনে গুরমার হাওরের ১১৫ নম্বর প্রকল্পের অধীনে স্লুইচগেট দিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এছাড়া সোনামড়ল হাওরের ৫৪ নম্বর প্রকল্পের বাঁধ ভেঙে ও পানি উপচে জয়শ্রী ইউনিয়নের কয়রানী হাওরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে চন্দ্রসোনার থাল হাওরের ৭৫ নম্বর প্রকল্পের ডুবাইল বরুণ কাইচ্ছা বাঁধ ভেঙে বোরো ফসল তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।
গত সোমবার বিকেলে ধর্মপাশা কংস নদীর পানি শয়তানখালী খাল হয়ে রুইবিল, কাইল্যানী, বুন্না, নয়াবিল ও ডুলিজার হাওরের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে।
পরে স্থানীয়রা ওই খালের নোয়াবন্দ-আবুয়ারচর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে বাঁধ দিয়ে তা প্রতিরোধ করেন।
অপরদিকে রাতেই সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রাম সংলগ্ন অরক্ষিত স্লুইচগেট হাওরে পানি প্রবেশ করতে থাকলে স্থানীয়রা তা প্রতিরোধ করেন।
অন্যদিকে শাল্লা উপজেলার কৈয়ারবন ও পুটিয়া হাওরে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে। এ দুই হাওরে ৪০ হেক্টর ফসলি জমি নিমিষেই তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ইউএনও আবু তালেব জানান, কৈয়ারবন ও পুটিয়া হাওরে প্রায় ৪০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে এ বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতার বাইরে। এরপরও আমরা চেষ্টা করেছি ফসলি জমি রক্ষা করার। কিন্তু উজানের পাহাড়ি ঢল ও নদীর পানি বাড়ায় আর রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
তবে এ বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতার বাইরে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
আরও পড়ুন:
No comments:
Post a Comment