![]() |
প্রতীকী ছবি |
ধামরাই প্রতিনিধি: ধামরাইয়ে হবধূকে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী বখাটে। এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে বাধা দেয় ইউপি মেম্বার। ধর্ষণের শিকার গৃহবধু বাক-প্রতিবন্ধী। শুধু তাই নয়, মেম্বারের বিরুদ্ধে ধর্ষিতার পরিবারকে চাপ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী দ্রুত ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূ তার শ্বশুরবাড়ির পেছনে পরিত্যক্ত জায়গায় লাকড়ি কাটতে যান। এ সময় ওৎ পেতে থাকা মতিয়ার রহমান মতির ছেলে সাইয়িম পেছন থেকে জাপটে ধরে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।
বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় ওই গৃহবধূ কথা বলতে পারেন না। তাই এ সময় তিনি জোরে হাউমাউ কান্না করেন। তার কান্না শুনে প্রতিবেশী ও পথচারীরা এগিয়ে এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। লোকজন দেখে ধর্ষক দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী। ফলে এলাকার মাতুব্বর ও জনপ্রতিনিধিদের মোটা অংকের অর্থ দেন ধর্ষকের পরিবার।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. মানোয়ার হোসেন মানু মিয়া ধর্ষণের শিকার ওই বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূর শ্বশুর ও পিতাকে থানায় মামলা করতে বাধা দেয়।
প্রতিবেশী হামিদা বেগম (৬৫) জানান, ভেকু মতির ছেলে সাইয়িম জোর করে তার ইজ্জত নষ্ট করে। এ দৃশ্য আমি নিজের চোখে দেখেছি। তাই ওর কঠোর বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই সরকারের কাছে।
ওই গৃহবধূর শ্বশুর বলেন, ভেকু মতির ছেলে আমার এ সহজ সরল পুত্রবধূকে উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে অনেক দিন ধরেই । আমার পুত্রবধূর সর্বনাশ করেছে ওই লম্পট। উল্টো মানোয়ার মেম্বার এ ব্যাপারে মামলা না করতে আমাকে ও আমার বেয়াইকে হুমকি দিয়েছে।
ইউপি মেম্বার মো. মানোয়ার হোসেন বলেন, সামান্য ঘটনা, তাই আমি মামলা না করার পরামর্শ দিয়েছি। এতে আমি দোষের তো কিছু দেখি না।
কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রাসেল মোল্লা বলেন, বাকপ্রতিবন্ধী ওই গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পুলিশ তদন্ত করেছে। আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
No comments:
Post a Comment