বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি অনেক মজবুত: প্রধানমন্ত্রী - DBS

DBS

দেশ-বিদেশ সংবাদ(Desh-Bidesh Sangbad)

শিরোনাম

Home Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, April 6, 2022

বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি অনেক মজবুত: প্রধানমন্ত্রী

 ছবি: পিআইডি


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধে কখনো ডিফল্টার (খেলাপি) হয়নি, হবেও না। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি অনেক মজবুত।


বুধবার (৬ এপ্রিল) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণ দেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


এর আগে আগে বিরোধী দলের উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের তার সমাপনী বক্তব্যে  বলেন, কৃষি, পোশাকখাত ও রেমিটেন্স—এই তিনটির যে কোনো একটিতে কোনো সমস্যা হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে। শ্রীলঙ্কা ঋণ শোধ করতে পারছে না এবং ঋণ নিতে পারছে না।


এরপর প্রধানমন্ত্রী তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, যত ঋণ নেওয়া হয়, সময়মতো পরিশোধ করা হয়। বাংলাদেশ কখনও ডিফল্টার হয়নি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি অনেক মজবুত।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা বিষয় আমি বলতে চাই, হ্যাঁ একে তো করোনা তার ওপর ইউক্রেনের যুদ্ধ। টেলিভিশনের মাধ্যমে আমি ইউরোপের নিউজ দেখছিলাম। সমস্ত ইউরোপে সাড়ে সাত ভাগের ওপরে ইনফ্লেশন। সেখানে বাংলাদেশে ৬ ভাগের নিচে আছে ইনফ্লেশন। আমাদের মাথাপিছু আয়ও যেমন বেড়েছে, সাথে দ্রব্যমূল্যও বেড়েছে, এটা হলো বাস্তব। 



তিনি বলেন, আমি আরও একটি কথা বলতে চাই—বিরোধী দলের নেতা, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এরা যখন ক্ষমতায ছিল, বিদেশ থেকে যখন জিনিস কিনত তখন ১০ টাকার জিনিস ২০ টাকা দিয়ে কিনে বাকি ১০ টাকা পকেটে ঢোকাতো, কমিশন খেতো। কোনোটার দাম যদি ১৩০ মিলিয়ন হতো, সেটাকে ১৫০ করে বিশ মিলিয়ন পকেটে নিতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেটা হয় না, বরং আমরা দাম কমিয়ে আনি। দাম কমিয়ে আমরা ক্রয় করি। দ্বিতীয় হচ্ছে সময়মতো প্রজেক্ট শেষ করা হয়। 


এই কয়েক দিন আগে পায়রাতে আমরা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট উদ্বোধন করলাম। আট মাস আগে এটার কাজ শেষ হয়েছে এবং আমাদের প্রায় ৮০০ কোটি টাকার মতো সেখান থেকে বেঁচে গেছে। আমরা প্রত্যেকটা কাজ আগে করি, কিছু টাকা বাঁচাই। গ্যাসের ৬টা কূপ, সেখানে বালু দেখা গেছে, গ্যাস তোলা বন্ধ। তারপরও আমরা কোনো মতে চালু করে রেখেছি, একেবারে বন্ধ হতে দেইনি। অন্য সময় হলে এর সবগুলো বন্ধ হয়ে যেতো। চারটা মোটামুটি সংস্কার করা হয়ে গেছে, দুটো বাকি আছে, সেটাও হয়ে যাবে। এই সমস্যা থাকবে না। তবে এলএনজি আমরা আমদানি করছি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের উপনেতা যেটা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কার বিষয়টা, এটা বাস্তব। তবে একটা বিষয় আমরা বলতে চাই যে, আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে এ পর্যন্ত আমাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা যত ঋণ নিয়েছি, ঋণটা আমরা সময় মতো পরিশোধ করে থাকি। বাংলাদেশ একটি দেশ, যে দেশটি কোনদিন ঋণ পরিশোধে ডিফল্টার হয়নি, হবেও না। সেদিক থেকে আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি অনেক মজবুত। সেটা আমি বলে রাখতে চাই। আমরা অত্যন্ত সচেতন।



যানজট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে, গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। অতিরিক্ত গাড়ি এখন রাস্তায় চলে। সবাই যদি ট্রাফিক রুল মেনে চলে আর গাড়ি যদি কম বের করে তাহলে আর যানজট হয় না। গাড়িতে চলবেন, এক-একটা পরিবারে দুই খানা তিন খানা গাড়ি চালাবেন আবার ট্রাফিক জ্যাম হলে বলবেন। গাড়িতে চড়বেন না, ট্রাফিক জ্যাম হবে না, এটা হলো বাস্তবতা।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, এত কিছুর মধ্যেও আমরা অর্থনীতিকে যথেষ্ঠ শক্তিশালী করে রেখেছি। বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের ৩১তম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হিসেবে টিকে আছে। নির্বাচন কমিশনের জন্য আইনও করে দিয়েছি। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, সে ব্যবস্থাও করেছি। সংবিধানে মানুষের অধিকারের কথা স্পষ্টভাবে বলা আছে, এটা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা না। আর ৭০ অনুচ্ছেদ আছে বলেই রাজনীতিতে একটা স্থিতিশীলতা আছে, ভারসাম্য আছে। 


এখন অন্য পন্থায় যারা ক্ষমতা দখল করতে চায়, তাদের অনেক সময়ই ওই ৭০ অনুচ্ছেদ, সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সংবিধানে এটা দেওয়া আছে, অবৈধভাবে কেউ যদি ক্ষমতা দখল করে তাদের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হবে।


 জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, সেই অগ্রযাত্রা ইনশাল্লাহ অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad